বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রলীগ নেতাকে পেটানোর ঘটনায় পুলিশের ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিতঃ ১৬ এপ্রিল, ২০১৬  

পুলিশকে গালি দেয়ায় নরসিংদীর পলাশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতারা মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকে পেটানোর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে বিষয়টি দফারফা করা হয়।
শনিবার দুপুরে ঘোড়াশাল তাপবিদুৎ কেন্দ্রে কেপিআই এরিয়ায় ভেতরে পুলিশ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
এতে পুলিশের পিটুনিতে আহত হয় পলাশ শিল্পাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া, ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপিত সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ।
পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রলীগের কর্মী রবিন, কাউসার ও সাগর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাকরীজীবী আলম খন্দকারের ছেলে সাহেদ ও তার বন্ধু আশরাফুলকে মারপিট করে। এঘটনায় ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ছাত্রলীগ কর্মীদের আটক করে। পরে ছাত্রলীগ কমীরা স্থানীয় নেতাদের জানালে পলাশ শিল্পাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া, ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপিত সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এসময় পুলিশ তাদের কেপি আই এরিয়ায় প্রবেশে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ছাত্রলীগ নেতারা। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। এসময় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপিত সাদ্দাম হোসেন উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে মামুন কর্তব্যরত এক পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে এলোপাতাড়ি পিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে ক্যাম্পের ইনচার্জ মুছলেউদ্দিন ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন।
আহত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনা জানতে চাওয়ায় পুলিশ আমাদের উপর চটে যায়। পরে তারা আমাদেরকে মারধর করে।
এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য উজ্জল জানান, ঘোড়াশাল তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর নিরাপত্তায় সরকার তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আমাদের ক্যাম্পটি একটি গুরত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পরিচয় না দিয়ে বিনা অনুমতিতে জোরপূর্বক স্যারের কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে আমি বাধা দেই। এসয়ম তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
download-nnপুলিশকে গালমন্দ ও মারপিটের ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুূলতে রাজি হয়নি ক্যাম্পের ইনচার্জ মুছলেউদ্দিন। তবে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুলবোঝা বুঝি হয়েছিল। সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে।