দীপু মনি ও তার ভাইয়ের নামে নাশকতার মামলা
প্রকাশিতঃ ১৬ আগস্ট, ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক:চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরো সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভার কোড়ালিয়া এলাকার সেলিম মিয়া হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি সদর মডেল থানায় এমন একটি অভিযোগ করেন।
সন্ধ্যা ৭টায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসীন আলম অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, এটি এখনো মামলা হিসেবে রুজু হয়নি।তবে সব প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগে ৫০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরো হাজারখানেক রয়েছে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই রাতে চাঁদপুর শহরের জে এম সেন গুপ্ত সড়কে অবস্থিত মুনিরা ভবনে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রথমে হামলা, লুটপাট এবং পরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের এই বাসায় যে ঘটনায় জড়িতরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সুমনসহ অরো অনেকে।
এদের মধ্যে ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাইসহ বেশ কয়েকজন হচ্ছেন হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতা। হামলাকারীরা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে দোতলা আলিশান ডুপ্লেক্স বাসায় ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। প্রথম দফায় এমন ঘটনার পর গত ৪ আগস্ট আবারও ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তারা।
পরে বাড়ির অংশ বিশেষ এবং কোটি টাকা মূল্যের একটি স্পিডবোট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কালের কণ্ঠকে জানান, পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তা আইনের গতিতেই চলবে এবং যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক আরো বলেন, তার বাড়িতে গত ১৮ জুলাই যে নারকীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা যেন নতুন করে আর কারো ওপর না হয়। আর যদি চাঁদপুরের কোথাও এমন ঘটনা ঘটে। তাহলে তাও কঠোর হাতে দমনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মামলার বাদী।