মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রিকশা ছিনতাই করতে বন্ধুকে খুন,দুই মাস পর কঙ্কাল উদ্ধার

প্রকাশিতঃ ১৫ জুলাই, ২০২৪  

জেলা প্রতিনিধি, রিকশা ছিনতাইয়ের জন্য সমবয়সী বন্ধুদের হাতে খুন হয়েছে সোহেল ফরাজী (১৫) নামে এক কিশোর। দুই মাস আগে নিঁখোজ সোহেলের কঙ্কাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল সদর উপজেলার খয়রাবাদ নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সোহেলের বন্ধু ইমরান খানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
  
সোহেল বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা রিফিউজি কলোনি এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক ফরিদ ফরাজির ছেলে। আটক ইমরান একই এলাকার নান্না খানের ছেলে। 

ইমরান পুলিশকে জানায়, সোহেলের বাবার ব্যাটারিচালিত রিকশাটি সে এবং তিন বন্ধু হৃদয়, বাপ্পি ও রাকিব ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। দুই মাস আগে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে খয়রাবাদ সেতুতে সোহেলকে নেয় তারা। নির্জন হওয়ায় এলাকাটি নিরাপদ মনে করে সেতুর নিচে নিয়ে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংকস খাওয়ানো হয় সোহেলকে। সে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ঝোপের মধ্যে ফেলে রিকশা নিয়ে পালিয়ে আসে। পরে রিকশাটি বিক্রি করে সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল জানান, সোহেলের মা মুকুল বেগম চারজনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ইমরান ছাড়া কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।  

সোহেলের ভাই সোহাগ ফরাজী জানান, সোহেল আগে ট্রাকচালকের সহকারীর কাজ করত। চালক বিদেশ যাওয়ায় সে বেকার ছিল। দুই মাস আগে সোহেলকে তার কয়েক বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। সোহেল বাবার ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার বন্ধুরাও নিখোঁজ ছিল।সোহেলের বাবা ফরিদ ফরাজী জানান, কয়েকদিন আগে গোপনে ইমরান বাসায় ফিরে আসে। তাকে আটক করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে সোহেলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ ডেকে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।