বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রাতে কৃষকের পাকা ধান কেটে নিল প্রতিপক্ষ

প্রকাশিতঃ ০২ মে, ২০২৪  

জেলা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহের নান্দাইলে রাতে কৃষকের ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার সিংরাইল ইউনিয়নের উদং গ্রামের মৃত জোবেদ আলীর ছেলে কৃষক হাফিজ উদ্দিনের জমির পাকা ধান কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এমন অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত আ. গফুরের ছেলে আব্দুল মোতালিব গংদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে সিংরইলের উদং গ্রামের কৃষক হাফিজ উদ্দিনের ১০০ শতক জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যায় আব্দুল মোতালিব গংরা। শুধু তাই নয়, ওই কৃষকের ভুট্টাক্ষেত ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, আব্দুল মোতালিবের বাড়িতে ধান ও নতুন কাঁচা খড় শুকানো হচ্ছে। এ ছাড়া ওই জমিতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে সুপারি গাছ দিয়ে বানানো একটি বল্লম ক্ষেতে পড়ে আছে। ক্ষেতের চারপাশের অন্যান্য ধান জমিগুলোর ধান এখনো কাটা হয়নি। কিন্তু উল্লিখিত ১০০ শতক জমির ধান কেটে নেওয়া হয়েছে।

তবে পাকা ধান কেটে নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষ আব্দুল মোতালিব ও তার লোকজন। তারা বলেন, আমাদের জমির ধান আমরা কেটে নিয়েছি তা ভোর রাতে হোক আর দিনেই হোক তাতে তো কোনো সমস্যা নাই।

এদিকে অভিযোগকারী কৃষক হাফিজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এ ধানের জমি তার। তিনি ধান রোপণ করেছিলেন। তাছাড়া পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত এই জমির মালিক কৃষক হাফিজ উদ্দিন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই জানান, কৃষক হাফিজ উদ্দিন ও আব্দুল মোতালিব গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। একাধিকবার সালিশ-দরবার হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে কৃষক হাফিজ উদ্দিন জানান, আমি রাস্তা চলাচলের পথে ঘর স্থাপনের প্রতিবাদ করায় আ. মোতালিব গংরা আমার ও আমার পরিবারকে অত্যাচার-নির্যাতনসহ জমি-জমা দখলে নেওয়ার জোরপূর্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তা সরজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য একজন এসআইকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে।