প্রধান শিক্ষকের টিকটক ভিডিও ভাইরাল
প্রকাশিতঃ ০৯ এপ্রিল, ২০২২
জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দারের কয়েকটি রোমান্টিক টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। চার মাস আগেই তালবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই টিকটক ভিডিওতে বিভিন্ন রোমান্টিক বাংলা, হিন্দি গান এবং কাঁচা বাদাম গানের তালে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে নাচ করছেন তিনি। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো কুষ্টিয়া জেলায়। সমালোচনার মুখেও পড়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক। তার এ গানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই দিচ্ছেন ভিন্নমত। বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিদ্যালয়টির সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চার মাস আগে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঝিনাইদহের শৈলকূপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। ওই বিদ্যালয়ে থাকাকালে একটি কর্মকাণ্ডের ঘটনার তাকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। পরে মাস চারেক আগে তালবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যোগদান করেন তিনি।
এদিকে, তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের টিকটক ভিডিও আমি দেখেছি। স্কুলের শিক্ষার্থীই আমাকে ভিডিওটি দেখিয়েছে। দেখে আসলেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সামনে লজ্জায় কোনো কথাই বলতে পারছিনা। অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ফোন দিয়ে আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন।
মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম জানান, ভুলক্রমেই ম্যাডামের ফেসবুক আইডিতে তিনি টিকটক ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। বিষয়টি জানার পর আমি তার সাথে কথা বলেছি। তিনি এ ব্যাপারে অনুতপ্ত। ভুল নিজেই স্বীকার করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তীতে আর এমনটি হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমার মতো অনেকেই তো টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না। তাহলে আমারটা নিয়ে এতো সমালোচনা কেন? এই ভিডিও নিয়ে সবাই বেশি উৎসাহী বলেই তিনি কলটি ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার জানান, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।