চার শিশু নিহত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি হবিগঞ্জের বাহুবলের একটি গ্রামে নির্মমভাবে নিহত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি হতভাগ্য শিশুদের পৈতৃক ভিটায় ঘর তৈরি করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের স্মৃতি হিসেবে জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ক্লাসরুম ও লাইব্রেরি নির্মাণেরও নির্দেশ দিয়েছেন। এখানেই নিহত চার শিশুর তিনজন পড়াশোনা করতো।
তিনি জানান, হবিগঞ্জ-সিলেট আসনের মহিলা এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর অনুরোধের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আনোয়ার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে হতভাগ্য চার শিশুর পিতাদের জমিতে ঘর এবং সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি স্কুল রুম ও লাইব্রেরি নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাহুবলের ইউএনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, পার্শ্ববর্তী উত্তর ভাদেশ্বর গ্রামে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চার শিশু। এরা হলো সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮) ও তার চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে মুনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
স্থানীয় লোকজন ১৭ ফেব্রুয়ারি কারাঙ্গী নদীর তীরে তাদের মৃতদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বালুচাপা অবস্থায় নিহতদের গ্রামের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূর থেকে ওই শিশুদের আংশিক গলিত লাশ উদ্ধার করে।
পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতে ওই শিশুরা ভিলেজ পলিটিক্সের নির্মম শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আবদুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, আজিজুর রহমান আরজু ও বশির মিয়াসহ ৬ জনকে আটক করেছে।