বৃহস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

১০ মাসের ব্যবধানে শিশু দুই বোনকে ধর্ষণ

প্রকাশিতঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬  

জেলা প্রতিনিধিঃ প্রায় ১০ মাস আগে ধর্ষণ করা হয় চতুর্থ শ্রেণির এক শিশুকে। সে ঘটনায় করা মামলায় জেল খাটছে এক যুবক। মামলাটি তুলে নিতে ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারকে নানাভাবে চাপ দেয় অভিযুক্ত যুবকের পরিবার। এর মধ্যেই ঘটে গেল আরেক বিভীষিকাময় ঘটনা। এবার ওই শিশুটির সাত বছর বয়সী ছোট বোনও ধর্ষণের শিকার হতে হলো। এই ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে সাবেক ইউপি সদস্য মো. তাজুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের দাবি, বড় বোনকে ধর্ষণের মামলায় কারাগারে থাকা আসামিপক্ষের লোকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা জানান, সকাল ১০টার দিকে পরীক্ষা দিতে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় তার সাত বছর বয়সী মেয়েটি। দুপুর ১২টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তিনি ও তার স্বামী মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। বিকাল তিনটার দিকে শিশুটিকে বাড়ির অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর শিশুটিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর আর্থিক অনটনের কারণে শিশুকে নিয়ে বাড়ি আসেন তারা।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কচুয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম এস ইকবাল শিশুটিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার।
জানা যায়, ১০ মাস আগে শিশুটির বড় বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের সুমন ঢালী নামে এক যুবক কারাগারে আটক আছেন। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য ওই চক্রটি ধর্ষিতা দুই বোনের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল বলে তাদের পরিবারের দাবি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল জানান, ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।