বৃহস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মা-বাবার সঙ্গে থাকতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

প্রকাশিতঃ ২৭ আগস্ট, ২০১৬  

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম পারিবারিক অসন্তোষের জের ধরে খাদিজা আক্তার নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মো. আনারুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে এই হত্যাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল সে। তবে শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আনারুল।
আনারুলের গাইবান্ধা জেলার কিষামুল ধর্মপুর এলাকার মো. আমির হোসেনের পুত্র।সে দীর্ঘদিন বাবা ও মাসহ স্ত্রীকে নিয়ে বায়েজিদ থানা এলাকার মোজাফফর নগর এলাকায় থাকতেন। তাদের তিনমাসের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় খাদিজার বড় ভাই মো. কাশেম সৈকত বাদি হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, তিন বছর আগে প্রেম করে খাদিজা আক্তারকে বিয়ে করে ট্রাক চালকের সহকারী আনারুল। এরপর থেকে মোজাফফরনগর এলাকায় বাবা মায়ের সঙ্গে পরিবার নিয়ে থাকছিল সে। তবে তিন মাস আগে পুত্র সন্তানের মা হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী খাদিজা তাকে আলাদা বাসা নিতে তাগাদা দিয়ে আসছিল। কিন্তু আলাদা বাসা না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি হয়ে আসছিল।
এর সূত্র ধরে ২৬ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আনারুল ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় আনারুলের মা-বাবা বাসায় ছিল না। তারা ইট ভাঙার শ্রমিক হিসেব কাজ করেন। সেই কাজে ছিলেন তারা। তবে দুপুর ১টা চার মিনিটে আনারুল খাদিজার ছোট বোন রিয়া মণিকে ফোন করে জানায় খাদিজা মাথা ঘুরে পড়ে গেছে তাকে সাউদার্ন মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।কিন্তু খাদিজার ভাই-বোনেরা হাসপাতালে গিয়ে দেখে খাদিজা সেখানে নেই, তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে তারা খাদিজাকে মৃত অবস্থায় পান।
এসময় খাদিজার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখলে ও আনারুলের কথা সন্দেহ হলে তারা বায়েজিদ থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ আনারুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে সে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। শনিবার বিকেলে আদালতে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় আনারুল।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন সোনারবাংলা৭১.কমকে 2388_hotta বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আনারুলকে সন্দেহ হলে আমরা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কিন্তু সে প্রথমে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে। পরে সে মা বাবার সঙ্গে থাকতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে বলে স্বীকার করে। শনিবার বিকেলে আদালতে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে।’