মামাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাগ্নের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিতঃ ১৫ জুন, ২০১৬
পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে মামা হেমলাল চন্দ্র শীলকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাগ্নে নিবাস চন্দ্র শীলকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের মৃত সুখরঞ্জন শীলের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ আসামি তার মামার সঙ্গে দুপুরের খাবারের পরে মায়ের জমি বাবদ পাওনা ১ লাখ টাকা চান। তখন ওই টাকা দিতে মামা অস্বীকার করলে ভাগ্নে আসামি বিকেলে তার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ঘুমন্ত হেমলাল চন্দ্র শীলকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করে।
পরে স্থানীয়রা ভাগ্নে নিবাস চন্দ্র শীলকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহত হেমলালের ছেলে শ্যামল কুমার শীল নাজিরপুর থানায় নিবাস চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের ১৮ ঘণ্টা পরে ১০/০৯/২০১৩ তারিখে আসামি পিরোজপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আহসান হাবীবের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে।
জবানবন্দিতে আসামি নিবাস চন্দ্র শীল জানান, তার মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। মামার কাছে পাওনা টাকা চাইলে তিনি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ দেবার কথা বলেন। কিন্তু ওই দিন দুপুরের খাওয়ার পর মামার কাছে টাকা চাইলে তা দেবার কথা অস্বীকার করে। এ সময় ভাগ্নে নিমাই শীল তার কাছে কোনো টাকা না থাকার কারণে ২০০ টাকা দেবার জন্য অনুরোধ করেন। সে টাকাও দিতে অস্বীকার করলে আসামি মামাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ মামলার ২ মাস ১০ দিনের মাথায় ৩০/১১/২০১৩ তারিখে এসআই আব্দুল গফার মোল্লা অভিযোগ দাখিল করে। মামলার বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন সাক্ষী দেয়। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কানাই লাল বিশ্বাস।
এসময় আদালত কক্ষের বাইরে উপস্থিত নিবাসের স্ত্রী শিখা রানী ও সাড়ে চার বছরের শিশু কন্যা নিশি কান্নায় ভেঙে পড়েন।