সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

 চলছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন

প্রকাশিতঃ ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪  

সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট,শৃঙ্খলা নেই চট্টগ্রামের রাস্তায়। নগরী ও জেলার সর্বত্র ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ছড়াছড়ি। কারো ট্যাক্স টোকেন নেই, কারো রুট পারমিটে গলদ। মিটারে যাত্রী পরিবহন করে না সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ট্রাফিক পুলিশের চোখের সামনেই সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ রকম হাজারো যানবাহন। 

এছাড়া যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামার মতো বিড়ম্বনা এখন অনেকটাই যেন গা সওয়া হয়ে গেছে। সড়কের এতসব অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না পুলিশ। তাদের চোখ শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশার দিকে। যেন সড়কের সব বিশৃঙ্খলার দায় ব্যাটারিচালিত রিকশারই। প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন আটক রাখার পর যখন তা মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তখন রিকশার ব্যাটারিসহ নানা যন্ত্রাংশ যায় বিকল হয়ে। প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন দরিদ্র রিকশাচালকরা। 

ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, ব্যাটারি রিকশার ব্যাপারে কঠোর হলেও নগরীর রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের অরাজকতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নীরব। নগরী ও জেলার কোথাও সিএনজি অটোরিকশা মিটারে যাত্রী পরিবহন করে না। অথচ এ ব্যাপারে পুলিশ কিছুই বলে না। কিন্তু সেই পুলিশ আবার ব্যাটারিচালিত রিকশা দেখলেই আটক করে। নগরীর রাস্তায় গণপরিবহনগুলোর যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার ব্যাপারে কিংবা ফুটপাতে মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ব্যক্তিগত যানবাহন পার্কিং করে রাখাসহ আরও নানারকম অনিয়মের ব্যাপারে পুলিশকে জোরালো ভূমিকায় দেখা যায় না। 

পুলিশের অভিযোগ, ব্যাটারি রিকশার কারণে বিদ্যুতের অপচয়ের পাশাপাশি রাস্তায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। অথচ নগরবাসীর অধিকাংশই বলছেন, ব্যাটারি রিকশার কারণে একদিকে যেমন চালকরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম থেকে রেহাই পেয়েছেন, তেমনি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের হয়রানিও কমেছে। সীমিত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে বলে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। অথচ এসব সুবিধার কথা বিবেচনায় না নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।