মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শেষ সময়ে সুইং স্টেটে প্রচারে ব্যস্ত ট্রাম্প ও হ্যারিস

প্রকাশিতঃ ০৪ নভেম্বর, ২০২৪  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি মাত্র আর এক দিন। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজনেই সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে শেষ সময়ের প্রচারণা চালাচ্ছেন। 

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রোববার শক্তিশালী স্যুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত মিশিগানের একটি ঐতিহাসিক কৃষ্ণাঙ্গ চার্চে গিয়েছিলেন কমলা। ডেট্রয়েটের গ্রেটার ইমানুয়েল ইনস্টিটিউশনাল চার্চ অব গড ইন ক্রাইস্ট-এর প্যারিশনারদের তিনি বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি। তাই শুধু কথা নয়, শুধু প্রার্থনা নয়, কাজও করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঈশ্বর আমাদের জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তাকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে গেলে আমাদের কাজ করে দেখাতে হবে। আমরা যেন সেই পরিকল্পনামতো কাজ করি। গণতন্ত্রের জন্য, আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য কাজ করি।

পরে মিশিগানের ইস্ট ল্যানসিংয়ে একটি সমাবেশে তিনি প্রায় ২ লাখ আরব আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শুরু করেন। বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি গাজার যুদ্ধ শেষ করতে আমার সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।

এদিকে রোববার ট্রাম্প পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ায় জনসভা করেছেন। বলা হয়ে থাকে, মার্কিন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সুইং স্টেটের মধ্যে পড়ে এই রাজ্যগুলো।

ট্রাম্প প্রথমে নর্থ ক্যারোলিনার কিন্সটনে ও পরে জর্জিয়ার ম্যাকনে ভাষণ দেন। ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামক একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মেশিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন। যদি নির্বাচিত হতে পারেন, তাহলে তিনি পুরো ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন।

ট্রাম্প ঘোষণা করেন, আমি অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের সৌজন্যে বিশাল সংখ্যায় অপরাধীরা অ্যামেরিকায় ঢুকছে। ট্রাম্প বিশাল সমাবেশে জানতে চান, কখন পরিস্থিতি ভালো ছিল, চার বছর আগে না কি আজ?

ট্রাম্প আরও বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি দেশকে নতুন স্বর্ণযুগে নিয়ে যাবেন।

পেনসিলভেনিয়ার জনসভায় ট্রাম্প তার বক্তব্যের শেষের দিকে দাবি করেন, ২০২০ সালে তার পরাজয় জালিয়াতির কারণে হয়েছিল। 

ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের হারলে সেই ফলাফল মেনে নেবেন না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, তিনি যদি ২০২৪ সালের নির্বাচনে হেরে যান, তবে এর একমাত্র যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা হবে, ডেমোক্র্যাটরা তার সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছে।