প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের মাঠে মেলার আয়োজন
প্রকাশিতঃ ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
অপরাধ প্রতিবেদক, রাজবাড়ীর পাংশায় প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই স্কুলের মাঠ দখল করে মেলার আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শহীদ বীরবিক্রম খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে আশ্বিনসংক্রান্তির ঐতিহ্যবাহী গাশ্বীর মেলা চলছে বলে জানা গেছে।
প্রশাসনিক অনুমতি না নিয়ে মেলা চলমান থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকার সুধীসমাজ। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে পালা গানের আসর।ইতিমধ্যে এই মেলা ঘিরে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ইউনিয়নের বাগমারা ও বাহাদুরপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। মেলাকে ঘিরে বিভিন্ন মনিহারি দ্রব্যাদির দোকানের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বাগমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বসেছে ফার্নিচারের দোকান।
বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘মেলায় দোকানপাট বসানোর কারণে খেলার মাঠটি খানাখন্দে পরিণত হয়। মেলা শেষে আমরা নিয়মিত সেখানে খেলাধুলা করতে পারি না।বিগত বছরে খেলার মাঠে মেলা বসলেও এ বছর বিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যেই পালাগানের আসর বসানো হয়েছে। যা দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি মেলার অনুমতি দিয়েছি, তবে প্রশাসন কোনো অনুমতি দেয়নি বলে শুনেছি।’
বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘মেলায় দোকানপাট বসানোর কারণে খেলার মাঠটি খানাখন্দে পরিণত হয়। মেলা শেষে আমরা নিয়মিত সেখানে খেলাধুলা করতে পারি না।বিগত বছরে খেলার মাঠে মেলা বসলেও এ বছর বিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যেই পালাগানের আসর বসানো হয়েছে। যা দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি মেলার অনুমতি দিয়েছি, তবে প্রশাসন কোনো অনুমতি দেয়নি বলে শুনেছি।’
অনুমিত ছাড়া স্কুলের মাঠে মেলার আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে মেলা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি আহম্মদ আলী মণ্ডল বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি।তবে তারা কোনো লিখিত অনুমতি দেয়নি ‘
থানা থেকে কোনো অনুমতি আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে বলেছি, থানা বিষয়টি অবগত আছে।’
তবে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘বাহাদুরপুর মেলার বিষয়টি আমি জানি না। তারা কোনো অনুমতিও নেয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি এর সঙ্গে কারা জড়িত।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, ‘মেলার অনুমতির বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত আবেদন আসেনি।আমি মেলার বিষয়ে কিছু জানি না। অনুমতি ছাড়া মেলা বসানোর কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি অনুমতি ছাড়াই কিছু করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, ‘মেলার অনুমতির বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত আবেদন আসেনি।আমি মেলার বিষয়ে কিছু জানি না। অনুমতি ছাড়া মেলা বসানোর কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি অনুমতি ছাড়াই কিছু করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’