মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর সড়কে যানজট কমাতে সরকারপ্রধানকে ছয় প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিতঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  

সোনার বাংলা ৭১ ডেস্ক: রাজধানীর সড়কে যানজট কমাতে মূল সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধসহ ছয়টি প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গত সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদীউজ্জামান ও অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকায় চলাচলকারী সব বাস একটি কোম্পানির অধীনে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন তারা। 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাদীউজ্জামান বৈঠকের বিস্তারিত সমকালকে জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছিলেন– কীভাবে লো কস্টে (কম খরচ) এবং নো কস্টে (বিনা খরচ) যানজট নিরসন করা সম্ভব। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পুলিশি ব্যবস্থা তেমন কার্যকর নয়।  ট্রাফিক পুলিশ সড়কে দায়িত্বে ফিরলেও তারা খুব একটা তৎপর নন। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় সব রাস্তায় রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। চলছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন। এতে যানজট তীব্র হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিকশা ও ধীরগতির যানবাহন শুধু সরু সড়ক ও অলিগলিতে চলতে পারে। 

হাদীউজ্জামান বলেন, ছয় দফা প্রস্তাবের প্রথমেই রয়েছে ঢাকার মূল সড়কে যেসব রিকশা এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে, তা বন্ধ করতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর ব্যাটারিচালিত রিকশা এসেছে। এগুলো ফেরত পাঠাতে হবে। অন্যান্য প্রস্তাব– ট্রাফিক পুলিশকে আগের মতো তৎপরত করতে হবে; কোনো সিগন্যাল যেন পাঁচ মিনিটের বেশি আটকে রাখা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শহরের ছোট-বড় ইন্টারসেকশনের (মোড়) ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। যাত্রী ওঠানামার জন্য বাস নির্দিষ্ট স্থানে থামবে এবং কোনো অবস্থাতেই দুটি বাস পাশাপাশি দাঁড়াতে পারবে না; সারিবদ্ধ হয়ে থাকবে। যানজট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ ট্রাফিক প্রকৌশলীদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দল সড়কে থাকবে। কোথাও যানজট সৃষ্টি হলে প্রকৌশলীদের পরামর্শে পুলিশ তা নিরসন করবে। 

হাদীউজ্জামান আরও জানান, সরকারপ্রধানকে দীর্ঘমেয়াদি কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এর একটি হলো, সব বাসকে একটি সরকারি কোম্পানির আওতায় আনতে বর্তমান মালিকদের কাছ থেকে বাস অধিগ্রহণ করতে হবে কিংবা তারা কোম্পানির অংশীদার হিসেবে থাকবেন। ৭০ শতাংশ যাত্রীকে বাস-সেবার আওতায় আনতে হবে। বাসের মান হবে মেট্রোরেলের মতো উন্নত। ২০২৭ সালের মধ্যে তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণের পরও, বাসে এর সাত গুণ যাত্রী চড়বেন।