সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ মৃত্যু

প্রকাশিতঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে সদর উপজেলা ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে একই পরিবারের তিনজন এবং উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাহাড়ধসের ঘটনাগুলো ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম।

এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতরা হলেন দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম। ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আবদুল হাফেজ এবং আবদুল ওয়াহেদ।

ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহতের স্বজনরা জানান, রাত ২টার দিকে ভারী বৃষ্টিতে মিজানের বাড়ির দিক থেকে পাহাড়ধসের বিকট শব্দ শুনতে পান। পরে সেখানে গিয়ে তারা দেখেন যে মাটিচাপা পড়েছে মিজানের পরিবার। তাৎক্ষণিক মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ভোররাতে কক্সবাজার দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে মিজানের স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তারা জানান, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে পাহাড় ধসে পড়ে তার বাড়িতে।

অন্যদিকে কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ভারী বর্ষণে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা বিধ্বস্ত ঘর-বাড়িতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গত বুধবার থেকে কক্সবাজারে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার জেলা শহরসহ বেশ কিছু গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে অনেকের বাড়ি প্লাবিত হয়। এতে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।