সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

তিতাস নদীতে নৌকা ডুবে ২ স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিতঃ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লার হোমনায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে দুই স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনেই একই ক্লাসের শিক্ষার্থী ও বান্ধবী ছিল। তাদের দুজনের নামও একই। ওই দুই বান্ধবী হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কানাই সাহা ঘাট সংলগ্ন তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১২) ও একই গ্রামের মো. মুসা মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৩)।

স্থানীয়রা জানান, স্বাভাবিক নিয়মে ছাত্রীরা প্রতিদিনই খেয়ানৌকায় নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে আবার ছুটির পর একইভাবে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। প্রতিদিনের মতো ওইদিন সোমবার ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী খেয়ানৌকাযোগে নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।কিন্তু তাদের আর ফেরা হয়নি। মাঝ নদীতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. মনির হোসেন ও মো. ইসমাইল জানান, অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী নিয়ে খেয়ানৌকাটি কানাইসাহ ঘাট থেকে ছেড়ে নদীর মাঝামাঝি যেতেই পাশ দিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দ্রুতগতিতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। ওই ট্রলারে সৃষ্ট ঢেউয়ে খেয়ানৌকাটি হেলেদুলে একদিকে কাঁত হয়ে ডুবে যায়।সঙ্গে সঙ্গে নৌকায় থাকা সব শিক্ষার্থীরা নদীর পানিতে পড়ে যায়।

এর মধ্যে তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যায়। ঘাটে থাকা স্থানীয় লোকজন এবং সাঁতার জানা অন্য শিক্ষার্থীরা ডুবে যাওয়া একজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও বাকী দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় লোকজন নদীতে খোঁজাখুঁজি করে প্রায় এক ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া সামিয়া নামের দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, খেয়ানৌকায় নদী পার হতে গিয়ে দুজন শিক্ষার্থী তিতাস নদীতে ডুবে মারা গেছেন। কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই শিক্ষার্থীদের স্বজনরা তাদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, যতটুকু শুনেছি নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোকজন ছিল। যে কারণে পাশ দিয়ে একটি ট্রলার যাওয়ার কারণে ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।