ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
প্রকাশিতঃ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইলে ইউপি চেয়ারম্যানেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
গত (৫সেপ্টেম্বর)রাত সাড়ে ১১ টায় বাচ্চু মিয়া সরাইল থানায় এক মামলা দায়ের করেন।
বাচ্চু মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের মৃত হাজী আবেদ আলীর ছেলে।
মামলার আসামীরা হলেন: অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, ইউপি সদস্য মাসুক মিয়া, মুখলেছ মিয়া, রৌফ মিয়া, বাবুল মিয়া, বাশারফ হোসেন ভূইয়া ও আইয়ুব হোসেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, নিজ বসত-বাড়ির পাশেই ৪ শতক জায়গা ক্রয় করে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া। তবে গত ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ক্রয়কৃত জায়গা দখল নিতে গেলে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে অরুয়াই্ল ইউয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও ইউপি সদস্য মাসুক মিয়া।
এসময় মামলার এজারের উল্লেখিত বাকি ৫ আসামীরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে চাঁদা না দেওয়ার মত প্রকাশ করলে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের ভয় প্রদান করে এবং শারিরীক নির্যাতন শুরু করে। এক সুর-চিৎকারে উক্ত মামলার স্বাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অজ্ঞাত ২ জন আসামী ঘটনার দিন থেকে আগামী ২ দিনের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দেওয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায় বাচ্চু মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ক্রয়কৃত ৪ শতক ভিটি ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে দখলে থাকতে হলে আসামিরা বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছে।
মামলার বাদী বাচ্চু মিয়া জানান, সেদিন সন্ধ্যায় আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখল নিতে হলে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আর চাঁদা দিতে পারবো না জানালে আমাকে মারধর করে এবং যেকোনো সময় আমাকে হত্যা করার হুমকী দেয় অরুয়াই্ল ইউয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও ইউপি সদস্য মাসুক মিয়াসহ মামলায় উল্লেখিত বাকি আসামীরা। যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেনো দ্রুত আসামীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।
ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন,তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তারপরও আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়া দুঃখজনক। এটা মিথ্যা বা বানোয়াট মামলা।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও দায়িত্বে থাকা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।