মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বেহাল সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশিতঃ ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  

অনলাইন ডেস্ক: নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন থেকে ফতেপুর সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩ কিলোমিটার। সড়কটির বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি পরিণত হয় ছোটখাটো ডোবায়। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মদন পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। ফলে বাধ্য হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ ও যানবাহন।

মদন উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মদন-ফতেপুর ১৩ কিলোমিটার সড়ক পৌরসভা সদরের সাথে তিনটি ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। মদন সদর ইউনিয়ন, তিয়শ্রী ইউনিয়ন ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। ২০০১ সালে রাস্তাটি পাকাকরণ সম্পন্ন হয় এবং  ২০১৬ সালে তা সংস্কার করা হয়। নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও ভারী যান চলাচলের কারণে অতি অল্প সময়েই সড়কটির বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। ২০১৬ সালের পর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু বিকল্প কোন যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ নিয়ে বাধ্য হয়েই যাতায়াত করছে ২৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। 

এ পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী আমিনুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মদন-ফতেপুর সড়কটি সংস্কার করা হয় না। সারা সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কাদা-পানি লেগেই থাকে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় কষ্ট করে প্রতিদিন লোকজন যাতায়াত করছেন। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া গাড়িচালকরাও যাত্রী নিয়ে যেতে চায় না। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে দেয়।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার সফি জানান, উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য আমার ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের বিকল্প কোন রাস্তা নেই। আমার ইউনিয়নসহ তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫টি গ্রামের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থা থাকলেও সংস্কারে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বেহাল সড়ক দিয়ে বাধ্য হয়েই আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করছি। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।

মদন উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, এ সড়কের গুরুত্ব অনুধাবন করে কাজের প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া জানান, মদন-ফতেপুর সড়কটি বর্তমানে বেহাল অবস্থা। সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।