মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

একই কা‌জে বারবার অনিয়ম, দায়সারা বক্তব‌্য কর্তৃপ‌ক্ষের

প্রকাশিতঃ ২১ আগস্ট, ২০২৪  

সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট,কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি রাস্তা সংস্কার কাজে বারবার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুরু‌তে নিম্নমানের সাম‌গ্রী দি‌য়ে রাস্তা মেরামতের অভিযোগ ওঠে। এ নি‌য়ে দৈ‌নিক কা‌লের ক‌ণ্ঠে ‘বা‌লুর প‌রিব‌র্তে কাদামা‌টি’ শি‌রোনা‌মে খবর প্রকা‌শিত হয়। ‌এর কিছু‌দিন পর রাস্তা‌টি‌ ফের সংস্কার শুরু করলে সেখা‌নেও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব‌্যবহার করা হ‌চ্ছে ব‌লে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় তিন ইঞ্চি খোয়া বিছানোর কথা থাকলেও তা যথাযথ মানা হয়নি। খোয়া ৯০ ভাগ এবং বালু ১০ ভাগ থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৪০ ভাগ কাঁদা মাটি মিশ্রণে (ডব্লিউএমএম) করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করায় সড়কে উঁচু-নিচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এজিংয়ে দুই-‌তিন নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়।এ ছাড়া গাইডওয়াল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। এক মিটার গাইডওয়ালের মধ্যে হাফ মিটার ১৫ ইঞ্চি এবং হাফ মিটার ১০ ইঞ্চি গাঁথুনি দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। গাইড ওয়াল নির্মাণে নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তা পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে উলিপুর পৌরসভার সীমানা পিলার (মুন্সিপাড়া) থেকে হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া অনন্তপুর জিসি সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে।কাজের দায়িত্ব পায় কুড়িগ্রামের রব-আরসি-এইচটি-জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছয় হাজার ৬৪৫ মিটার সংস্কার কাজের ব্যয় ধরা হয় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। কিন্তু কাজের শুরুতে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। 

কয়েকজন স্থানীয় বা‌সিন্দা জানান, কাজ শুরুর দিকে ঠিকাদারের লোকজন বালুর পরিবর্তে কাদামাটি দিয়ে রাস্তার কাজ করেন। এখন আবার পোড়ামাটির মতো খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা বানাচ্ছে।এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলেও তারা মানছেন না। সরকারি অফিসের লোকজন কখন আসে, কখন যায় আমরা জানি না।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল হামিদ অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, দুই পাশে এজিংয়ে আগের কিছু ইট থাকায় কিছু স্থানে এমন হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন,  যেখানে এমন ত্রুটি রয়েছে সেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করতে বলা হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, এখন শুধু রাস্তাটির কার্পেটিং বাকি আছে। এমন অভিযোগ পাইনি যেহেতু অভিযোগ উঠেছে ল্যাব টেস্টে করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।