সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কসবায় শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিতঃ ১৬ আগস্ট, ২০২৪  

নিজস্ব প্রতিবেদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে অসদাচরণের দায়ে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের বহিষ্কার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের নিকট লিখিত অভিযোগ পেশ করে এবং অবস্থান নেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিলা আক্তার জানায়, তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির ক্লাশ নেওয়ার সময় ছাত্রীদের সাথে অসদাচরণ, অশ্লীল বাক্য ব্যবহার ও মনের জিদ মেটাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত তুলেন। সে আরও জানায়, হুমায়ুন কবিরকে কয়েক বছর আগে একই অভিযোগে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বদলি করেছিল উপজেলা প্রশাসন। কিছুদিন পর কিভাবে যেন আবারও এই প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসেন। আসার পর থেকে আবারও শিক্ষার্থীদের সাথে তার ইচ্ছেমতো আচরণ করছেন। অপর শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার বলে, স্যারের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। প্রধান শিক্ষকের নিকট একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। ছাত্রীর বিদ্যালয়ে পড়তে আসে, গালাগাল শোনার জন্য নয়। তিনি মুখে যা আসে সেভাবেই গালাগাল করেন। স্যারের নিকট প্রাইভেট না পড়লে খাতায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহাম্মদ জানান, ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবির স্যারকে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য সাবধান করা হয়েছে। আজ শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেন সেটাই আমরা গ্রহণ করবো।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৌহিদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দশ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।