ইমাম নিয়ে সংঘর্ষে মাধবপুর ও বিজয়নগরে শতাধিক আহত
প্রকাশিতঃ ১৬ আগস্ট, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, ইমাম নিয়ে সংঘর্ষের জের ধরে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ ছুটে যায়।
সংঘর্ষের কারণে নোয়াপাড়া স্টেশনে দুটি আন্ত নগর ট্রেন আটকা পড়ে। আহতরা হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা গেছে।
পরে সেটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মাধবপুর ও বিজয়নগরের বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রেও প্রচুর ব্যবহার দেখা যায়। ব্যবহার করা হয় রেলওয়ের পাথর।
একাধিক সূত্র জানায়, মাধবপুর উপজেলার জামিয়া হরষপুর দারুল উলুম মাদরাসা মসজিদের ইমাম নিয়ে দুই বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই মসজিদের ইমাম মুফতি মো. বশিরের জিহ্বায় কথা আটকানোর কারণে শুদ্ধ উচ্চারণ হয় না বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুটি পক্ষ হয়ে যায়। এক পক্ষ মুফতি বশিরের পক্ষে আরেক পক্ষ বিপক্ষে। এ নিয়ে একটি মামলাও হয়।
সামাজিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে মুফতি বশির ইমামতি করতে পারবেন না।
এদিকে দেশের সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুফতি বশিরকে আনতে তার পক্ষটি তোড়জোড় শুরু করে। আজ শুক্রবার বশির ইমামতি করবেন বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরে নামাজের পর এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেধে যায়। শুরুতে মাদরাসার ছাত্ররা আক্রমণের শিকার হন। পরে উভয় পক্ষ দলবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। মাধবপুরের পার্শ্ববর্তী উপজেলা বিজয়নগরের কয়েকটি গ্রামের লোকজনও এ সংঘর্ষে জড়ালে পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। স্থানীয় একাধিক জনপ্রতিনিধি সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে গিয়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে সেখান থেকে সরে যান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করা মো. এনায়েত উল্লাহ নামে একজন জানান, ইমাম নিয়ে দুই বছর ধরে বিরোধ চলছে। এটাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের হাজার হাজার লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) নির্মল চক্রবর্তী বলেন,ইমাম নিয়ে বিরোধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে সন্ধ্যার দিকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করেছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
রাত ১১ টার দিকে এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ আসাদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত।