মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সরাইলে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিতঃ ০৪ আগস্ট, ২০২৪  

জেলা প্রতিনিধি,ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বিশ্বরোড মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। মহাসড়কের তিনদিকে তীব্র যানজট লেগে যায়। দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন যাত্রী ও পথচারীরা। পরবর্তীতে মহাসড়ক ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। এ সময় সরকারবিরোধী স্লোগানে উত্তাল ছিল বিশ্বরোড মোড়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ১টা পর্যন্ত চলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বক্ষণ সতর্ক অবস্থানে ছিলেন ইউএনও, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব। বিকাল দেড়টায় কর্মসূচি শেষ হয়। 
সরজমিন ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিশৃঙ্খলা এড়াতে গতকাল সকাল ৯টা থেকেই ওই মাঠের চারদিকে অবস্থান নেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবা-উল আলম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম শেখ, সদর থানা, সরাইল  ও আশুগঞ্জ থানার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি। মাঠের আরেক পাশে যুবলীগ নেতা আল এমরান ও মো. জাকির খানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। সকাল ১০টার পর থেকেই বিভিন্ন দিক থেকে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে মাঠের দিকে আসতে থাকে।

প্রশাসনের সদস্যদের দেখে অনেক শিক্ষার্থী থমকে যায়। শেষমেশ ওই মাঠে কেউ প্রবেশ করেননি। আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লাল শালুক হোটেলের সামনে অবস্থান নেন। পাশে পুলিশের বিশাল ব্যারিকেড রেখেই দুপুর ১২টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বসে শিক্ষার্থীরা। প্রায় তিন শতাধিক লোকের অংশগ্রহণে মহাসড়ক অবরোধের পর তারা সরকারবিরোধী স্লোগানে উত্তাল করে তুলে গোটা বিশ্বরোড এলাকাকে। তবে সকল কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা বেলা ১টার দিকে নিজেদের ইচ্ছায় মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা-উল আলম ভূঁইয়া বলেন, সংঘাত, সংঘর্ষ, বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এড়াতেই আমরা সর্বক্ষণ মাঠে ছিলাম। 
এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে সেটিও নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।