সংযোগ সড়ক নেই কাজে আসছে না কোটি টাকার সেতু
প্রকাশিতঃ ০৮ জুলাই, ২০২৪
সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট, সংযোগ সড়কের অভাবে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার বিলসূর্য নদীর ওপর সেতুতে সংযোগ সড়ক নেই। ফলে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এ অঞ্চলের মানুষের কাজে আসছে না। এখানে বড় যানবাহন চলাচল দূরের কথা, সেতু দিয়ে রিকশা-ভ্যান বা মোটরসাইকেল পারাপারেও চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে উল্লাপাড়া পৌরসভার বারোইয়া মহল্লায় ৯৬ ফুট দীর্ঘ সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর কাজ শেষ হয়। কিন্তু এখনও সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিলসূর্য নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে সংযোগ সড়কের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভূমি মালিকদের কিছু জটিলতার কারণে মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হয়। পরে ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যার সমাধান হয়। এখন নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেতুর দুই পাশে সরকারি জায়গায় বড় আকৃতির ২৩টি সেগুন, মেহগনি, কড়ই, ইউক্যালিপ্টাস ও শালগাছ রয়েছে। এসব গাছ সংযোগ সড়ক নির্মাণের অন্তরায়। গাছগুলো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। বিক্রি হলেই সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম, জিতেন বিশ্বাস, অরূপ সাহা ও অরুণদ্যুতি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বারোইয়া খেয়াঘাটে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকাবাসী। জনগণের সুবিধার্থে এলজিইডি ২০২২ সালে ওই স্থানে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে। তবে দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের অভাবে সেতুটি এ অঞ্চলের মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। সেতু নির্মাণের পর প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা মই ব্যবহার করে সেতুটি ঝুঁকি নিয়ে পার হতেন। মাস ছয়েক আগে পৌরসভা থেকে দুই পাশে কিছু মাটি ফেলে দেওয়া হয়। এখন এই সেতুতে বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। শুধু ভ্যান, রিকশা বা মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক কষ্টে সেতুটি পার হচ্ছে এলাকাবাসী।
এলজিইডির উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ বলেন, যথাযথ পরিমাপে সংযোগ সড়ক নির্মাণে সেতুর দুই পাশে সরকারি রাস্তায় ২৩টি বড় গাছ কেটে ফেলা প্রয়োজন। কিছুদিন আগে নিলামে গাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে ক্রেতারা গাছগুলোর সরকারি মূল্যের চেয়ে কম বলায় তা বাতিল
হয়ে যায়। আবারও নিলাম কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশাবাদী।