সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিতঃ ২০ জুন, ২০২৪  

সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য বলছে, তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু ফসলি জমি এবং ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে। এরই মধ্যে উজানের পানির চাপের কারণে তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

বর্ষার শুরুতেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মাঝে বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। 

এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলি জমি ডুবে গেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি তিস্তায় প্রবেশ করে নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন চরের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যা আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন আমরা আর সহযোগিতা চাই না, চাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা তীরবর্তী  অঞ্চলগুলো ব্যাপকভাবে প্লাবিত হবার আশংকা রয়েছে।