সিলেট জুড়ে বন্যার আভাস
প্রকাশিতঃ ৩০ মে, ২০২৪
সোনার বাংলা ৭১ রিপোর্ট, তীব্র তাপদাহের পর ঝরেছে বৃষ্টি। এর ফলে সিলেটের জীবনে স্বস্তি নেমেছে। তবে গত তিনদিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সিলেট জুড়ে বন্যার আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। এরমধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে পানি।
গত তিনদিনের বৃষ্টিতে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভারতের মেঘালয় পর্বতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে বন্যা শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা দেখা যায়, গত দুইদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ২০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাওযার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া বৃষ্টির কারণে উপজেলার নদ-নদীগুলোয় পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল পর্যন্ত বড় নদী সারী, বড়গাং, নয়াগাং ও রাংপানি নদীর বিপৎ সীমার কাছা-কাছি রয়েছে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, মযনাহাটি, বাইরাখেল, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া,টিপরাখরা, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, কালিঞ্জিাদবাড়ী, নয়াবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের লামনীগ্রাম, বিরাইমারা, মোয়াখাই, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, নলজুরী, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।