নিয়মের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়াভাবে চলছে ফসলি জমিতে গভীর পুকুর খনন
প্রকাশিতঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪
জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা না মেনে ফসলি জমিতে বেপরোয়াভাবে চলছে পুকুর খনন।তাড়াশ সদর ও নওগাঁ ইউনিয়নে অবাধে খনন করা হচ্ছে ৪০টির বেশি পুকুর। আরও ৫ইউনিয়নের পরিসংখ্যানে খননের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাবে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, অবৈধ পুকুর খননের অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে অনেককে। তারপরও খনন থেমে নেই। বরং আগের তুলনায় বেড়েছে।
তাড়াশ সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া গ্রামের এক কৃষক বলেন, এখন বোরো মৌসুম। খেতের ধান গাছ সবুজ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাদের খেতের পাশে পুকুর খনন করছে। তাদের পুকুর পাড়ের মাটি পড়ছে আমাদের ধানখেতে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন,অবৈধ পুকুর খনন করার অপরাধে জমির মালিকদের বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে ১১টি। ডিবি বাদী হয়েছে ১টি মামলার। অন্য ১২ টি মামলার বাদী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৪১ জনকে। এরা অধিকাংশই জমির মালিক।মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। আসামিরা জামিনে রয়েছেন।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জ- গত মাসের আইন-শৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তাড়াশে আর একটি পুকুরও খনন করতে দেওয়া হবে না। বরং পুকুর খননে ব্যবহৃত ভেকু মেশিন জব্দ করে আদালতে পাঠানো হবে। এখনও পুকুর খনন চলছে জেনে তিনি তাৎক্ষণিক কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
প্রান্তিক কৃষকরা বলেন, এই ইউনিয়নে পুকুর খনন করছে টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এখানকার ছোট পুকুরগুলো ১০ থেকে ১৫বিঘা আয়তনের। আর বড়গুলো ৫০ থেকে ৬০ বিঘা। আমরা তাদের অবৈধ পুকুর খননে বাঁধা দেওয়ার সাধ্য রাখি না। কিন্তু এসব পুকুর হয়ে গেলে আমাদের অল্প জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে। কোনো ফসলের আবাদ হবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুর খননের ফলে তিন ফসলি জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন,অবৈধ পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।আমরা বন্ধের চেষ্টা করছি।