সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

অধ্যক্ষের স্ত্রীকে নিয়োগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর না দেওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মারধর

প্রকাশিতঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪  

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অধ্যক্ষের স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে তৈরি করা রেজুলেশনে স্বাক্ষর না দেওয়ায় মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মারধর করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানালে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার গিমাডাঙ্গা গজালিয়া মহিলা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

মারধর ও আটক রাখার ঘটনায় শনিবার রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মাদ সালেহসহ পাঁচজনের নামে টুঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ তৈয়াবুর রহমান। এ ঘটনায় অপর অভিযুক্তরা হলেন– সাবেক ইউপি সদস্য মনির শিকদার (৪৫), গজালিয়া গ্রামের বাদশা শিকদারের ছেলে আরিফ সিকদার (২৮), মৃত মুসলিম শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জাকির শেখ (৪৫)।

অভিযোগে বলা হয়, গিমাডাঙ্গা গজালিয়া মহিলা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ পদটি দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য ছিল। বর্তমান অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মাদ সালেহ তাঁর স্ত্রী রওশন আরা পারভীনকে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছিলেন। অধ্যক্ষের পরিকল্পনা অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওই মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে গত ২০ জানুয়ারি অধ্যক্ষের স্ত্রীসহ আরও তিনজন ডামি প্রার্থী পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসায় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় শুধু অধ্যক্ষের স্ত্রীকেই উত্তীর্ণ করা হয়। তখন অধ্যক্ষের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে সভাপতি শেখ তৈয়াবুর রহমান অধ্যক্ষের স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে তৈরি করা রেজুলেশনে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে সভাপতিকে মিটিংয়ের কথা বলে মাদ্রাসায় ডেকে ওই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চাপ দেওয়া হয়। তখন সভাপতি স্বাক্ষর করতে না চাইলে বহিরাগতদের দিয়ে তাঁকে মারধর করান অধ্যক্ষ।

ভুক্তভোগী শেখ তৈয়াবুর রহমান বলেন, গত শনিবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র সংক্রান্ত আলোচনার জন্য তাঁকে মাদ্রাসায় ডাকেন। কিছু সময় পর অধ্যক্ষ তাঁর স্ত্রীর নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলেন। তিনি স্বাক্ষর না করলে তাঁকে মাদ্রাসা থেকে বের হতে না দেওয়ার হুমকি দেন অধ্যক্ষ। এ সময় সেখানে ওতপেতে থাকা বহিরাগতরা অধ্যক্ষের নির্দেশে তাঁকে মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।