মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ফসলি জমি ধ্বংস অবশেষে তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিতঃ ২০ মার্চ, ২০২৪  

বিশেষ প্রতিনিধি, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর সদরে পদ্মার তীরের আশপাশের এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মাটি কেটে ফসলি জমি ধ্বংস করছে প্রভাবশালী বিভিন্ন মহল। বালু ও মাটি সংগ্রহ করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে। তবে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

ফরিদপুরের  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পালকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধের সিঅ্যান্ডবি ঘাট, ধলার মোড়, মদনখালী, গদাধর ডাঙ্গী, ভাঙ্গা ও সাইনবোর্ড । 

শহর রক্ষা বাঁধ বাঁচবে তো’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে চরম অনিয়মের চিত্র উঠে আসে। ফরিদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে দিন-রাত চলছে বালু ও মাটিবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান। পদ্মা পাড়ের দুই ইউনিয়ন নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচরসহ বেশ কিছু এলাকায় একাধিক চক্র নদীর বালু উত্তোলন ও ফসলি জমির মাটি কেটে সাবাড় করছে। এবার বর্ষা মৌসুমে আবার এসব এলাকার ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। এমনকি হুমকির মুখে পড়তে পারে বেশ কয়েকটি সেতু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  

শহর রক্ষা বাঁধের আশপাশে বালু উত্তোলন রোধে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রাতে জেলা প্রশাসক সমকালকে বলেন, ‘যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ফসলি জমির মাটি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কাটেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফরিদপুর সদরে কোনো বৈধ বালুমহাল নেই।’