মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে পুলিশ সদস্যদের বাসচাপা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন

প্রকাশিতঃ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪  

সোনার বাংলা ৭১ ডেস্ক: সিলেটে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপকমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে বাসচাপা দেওয়ার ঘটনায় দুই হেলপারসহ বাস চালককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন— বাসচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পৈরতলা গ্রামের মৃত কান্তি চন্দ্র দেবের ছেলে বাবুল চন্দ্র দেব (৪৯)। অপর দুজন হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং থানার রামপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এরশাদ হোসেন (৪২) ও কুমিল্লা জেলার মৃত নিয়ামত খানের ছেলে জয়নাল (৪০)। তারা দুজনেই বাসের হেল্পার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রিয়েল কোচ নামের একটি বাস ছয় পুলিশ সদস্যকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।এরপর আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে ওইদিন রাতেই জালালাবাদ থানার এসআই মাহাবুর আলম মন্ডল বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ বাসটির হেলপার এরশাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বর্ণনা অনুযায়ী বাসের চালক বাবুল চন্দ্র দেবকে (৪৯) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এদিকে, শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় র‌্যাব -৯ ও র‌্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে বাসের হেল্পার জয়নাল (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহসড়কের তেমুখী পয়েন্টে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ‘রিয়েল কোচ’ নামে একটি বাস দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে এসে রাস্তার পাশে পার্কিংরত অবস্থায় পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও পুলিশ সদস্যদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আহত হন ছয় পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীর, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী (এসি) জহুরুল ইসলাম, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুনু মিয়া, উপ সহকারি পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) রেজাউল করিম ও গাড়ি চালক নায়েক হাবিবুর রহমান। তারা সকলেই সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।