ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতেন ভুয়া চিকিৎসক
প্রকাশিতঃ ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী আলীপুর এলাকার ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে রাকিব আহসান (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছিলেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক রাকিবকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ল্যাবএইডকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত। অভিযানে অংশ নেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফয়সাল মো. তৌহিদুজ্জামান।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিকালে চৌমুহনী চৌরাস্তা সংলগ্ন আলীপুর এলাকার ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি শুক্রবার চেম্বার করা ব্রেইন স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, মৃগী রোগ (খিঁচুনি) ও মাথাব্যথা বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক পরিচয়দানকারী রাকিব আহসানকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তিনি কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ ছাড়াও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশনের তথ্যে তার নাম মিল থাকলেও যে ছবি দেওয়া আছে সেটির সঙ্গে তার চেহারার কোনও মিল নেই। শুধু নাম ব্যবহার করে কোনও মেডিক্যাল সনদ ছাড়া তিনি চিকিৎসকের কাজ করে আসছিলেন। অভিযুক্ত রাকিব আহসানের বিরুদ্ধে এর আগেও চিকিৎসার নামে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল আইনে তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ল্যাবএইড হাসপাতালকে ভোক্তাধিকার আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসককে সাজা দেওয়ার পর র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’