এবার এক দরজার ভোটকেন্দ্র!
প্রকাশিতঃ ০২ জানুয়ারি, ২০২৪
জেলা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ-১ আসনের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন এক দরজার ভোটকেন্দ্র। আগে বিদ্যালয়ের তিনটি রুমের তিনটি বুথে লাইনে করে ভোটাররা ভোট দিতে পারতেন। এক মাস আগে বিদ্যালয়ের বারান্দার চারপাশে গ্রিল স্থাপনের কারণে বর্তমানে একটি দরজা দিয়েই প্রবেশ ও বের হওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র করা হলে নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণে অসুবিধা হবে বলে ইউএনওকে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, দক্ষিণকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯৪০ এবং নারী ভোট রয়েছে ৯৬৩। বিগত সব নির্বাচনেই এ বিদ্যালয়টি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। তখন বিদ্যালয়ের আঙিনায় কোনো ধরনের গ্রিল ছিল না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ মহল বলেন, বিদ্যালয়ের বারান্দায় গ্রিল স্থাপনের ফলে ভোটারদের ভোট প্রদান করতে কিছুটা সমস্যা হবে। কারণ বারান্দাটি বেশি প্রশস্ত নয়। একসঙ্গে ১০-১২ জনের বেশি লোকের স্থান সংকুলান হবে না। এতে নারী ভোটাররা অসুবিধায় পড়বেন।
বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণকুল গ্রামের পাঁচবারের ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, অতীতে দক্ষিণকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাটি উন্মুক্ত থাকার কারণে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারতেন। এবার বিদ্যালয়ের আঙিনায় গ্রিল স্থাপনের কারণে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন না। এ কারণে তিনি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণকুল এইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র করতে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তাব দিয়েছেন। কারণ ওই বিদ্যালয়ে ২৫টি কক্ষ রয়েছে এবং বারান্দা খোলামেলা। সেখানে গ্রিল বা বেড়া নেই। ভোটকেন্দ্রটি সেখানে স্থানান্তর করা হলে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।
বালিজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, দক্ষিণকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের ভোট প্রদানে অসুবিধা হবে। বিষয়টি তিনি তাহিরপুর ইউএনও ও সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মালিক বলেন, বিষয়টি বালিজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাঁকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দ্রুত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।