২৬ লাখ টাকা দিয়ে সড়ক মেরামতের ১০ দিনের মাথায় কার্পেটিংয়ের পিচ বিলীন
প্রকাশিতঃ ০৪ জুলাই, ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক:বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে দেবে একাকার হয়ে গেছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সদ্য মেরামত করা একটি সড়ক। মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় এ বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে কার্পেটিংয়ের পিচ ধুয়ে বিলীন হয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ির চাকার সঙ্গে উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ। এতে ওই সড়কে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দুরূহ ব্যাপার।
জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে স্বরূপকাঠি-কৃত্তিপাশা সড়কের ব্রিজ, কালভার্টের পুনর্নির্মাণ কাজ চলমান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স কাজগুলো করছে। স্বরূপকাঠি-জগন্নাথকাঠি নাম দিয়ে পুনরায় মেরামত করার প্রকল্প নেওয়া হয়। সড়কের শুরুতেই স্বরূপকাঠি থেকে জগন্নাথকাঠি পর্যন্ত ৪০০ মিটার অংশে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার মেরামতকাজের প্রাক্কলন নেওয়া হয়। কাজের মূল ঠিকাদার মাইনুদ্দীন বাশি। তার কাছ থেকে শুভ নামে একজন উপঠিকাদার কাজটি কিনে নিয়ে কাজ করেন। একটি চলমান কাজের ওপর মেরামত প্রকল্পের নামে জুন মাসের শেষ দিকে মেরামতকাজ সন্দেহজনক। ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের কিছু লোকদের যোগসাজশে রাস্তা মেরামতের নামে ২৬ লাখ টাকার হরিলুট হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান ভুইয়া বলেন, ‘আমাদের এই সড়কটি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অবহেলিত ছিল। সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হলে আমরা আনন্দিত হই। কিন্তু কাজের শুরুতেই নানা ধরনের অনিয়ম করেন ঠিকাদার। এমনকি রাতের আঁধারেও ঢালাই কাজ করা হয়। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে তারা পরদিন তড়িঘড়ি করে পিচঢালাই দিয়ে চলে যায়।’
স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, ‘কাজের মান খুবই খারাপ হচ্ছিল। জানতে পেরে আমি কাউন্সিলরদের নিয়ে কাজের স্থানে গেলে উপঠিকাদার কাজের মান সঠিকভাবে করে দেবেন বলে আশ্বস দেন। কিন্তু তারা যেনতেনভাবে কাজ করে চলে গেছেন।’
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নেছারাবাদ উপজেলার দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার রতন মিস্ত্রি বলেন, ‘কাজের শুরুতে আমি দুই দিন উপস্থিত ছিলাম। পরে অসুস্থ থাকায় সাইডে যেতে পারিনি।’
বিষয়টি নিয়ে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘৪০০ মিটার সড়ক মেরামতের জন্য ২৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। মাইনুদ্দীন বাশি কাজের মূল ঠিকাদার। তার কাছ থেকে সাবকন্ট্রাক্ট নিয়ে শুভ নামের এক লোক এ কাজ করেছেন। কাজ যদি খারাপ হয় তাহলে ঠিকাদার আবার এ কাজ করে দেবেন।’