সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসায়ী স্বামী হত্যার লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি স্ত্রীর

প্রকাশিতঃ ১১ জুন, ২০২৩  

জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ধান্যঘরা গ্রামের ফল ব্যাবসায়ীকে তার স্ত্রী হত্যা করেছে বলে পুলিশি তদন্তে ও সাক্ষীদের বক্তব্যে মূল ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।গ্রেপ্তার স্ত্রী নিজেই তা স্বীকার করেছেন স্বামীকে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা।

আজ রোববার (১১ জুন) সৈকালে ১১ টার সময় চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা দর্শনা থানায় এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিং আরো জানা যায়, দামুড়হুদা ধান্যঘরা গ্রামের ফল ব্যবসায়ী বাবর আলী (৪৫) প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন)রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন।এ সময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়।এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হন।এ সময় বাব‌র আলীর স্ত্রী চিৎকার করলে স্বজনরা দ্রুত ছু‌টে এ‌সে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন এবং চিকিৎসারত অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।

এই বিষয়ে নিহতের ভাই মো.সাবের আলী (৪২)এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দর্শনা থানায় গতকাল শনিবার (১০ জুন) মামলা রুজু করেন।

পরে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটনের জন্য দর্শনা থানা পুলিশের একাধিক টিম তাক্ষণিকণভাবে মাঠে নামে। মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নিহতের স্ত্রী আসামি মহিমাকে গ্রেপ্তার করে এবং ব্যাপক জিজ্ঞাবাদের একপর্যায়ে সে নিজেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বসত বাড়ির শোবার কক্ষের খাটের নিচ হইতে আসামি নিজেই হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত হাসুয়াটি বের করে দেওয়া মতে উদ্ধার করা হয়। 

আসামির জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।সে ঘটনার দিন গত শুক্রবার (৯ জুন) রাত আনুমানিক ১টার দিকে পারিবারিক কলহের কারণে ভিকটিম মৃত বাবর আলীর সঙ্গে তার স্ত্রীর বেশ কিছুদিন যাবৎ মহিমার কথা কাটাকাটি শুরু হয়।