মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদীতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ৫

প্রকাশিতঃ ২৩ মে, ২০২৩  

জেলা প্রতিনিধি:নরসিংদীতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এক নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) জেলা সদর, রায়পুরা, মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

রায়পুরা উপজেলার নিহতরা হলেন শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫) ও নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২)।

এছাড়া মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া (২৫), শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩০) এবং নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার সুকুমার রায়ের ছেলে শুপ্তকরের (১৪) বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে।

নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, দুপুর ২টার দিকে রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে বাড়ির সামনের মাঠে ফুটবল খেলছিল কয়েকজন কিশোর। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে জাবেদ, শিমুল (১১), রিয়াজুল (১২) ও হাসান (১১) আহত হয়। তাদের মধ্যে জাবেদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান শামীম বলেন, বাচ্চারা মাঠে ফুটবল খেলছিল। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খেলতে গিয়ে ওই কিশোরের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এর আগে সকালে খড়ের গাদা তৈরি করার জন্য বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে খড় আনতে যান শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের সামসুন নাহার। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, খড় আনতে বাড়ির পাশের জমিতে গিয়েছিলেন শামসুন নাহার। এসময় বজ্রপাতে সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

এদিকে, মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামে রায়হান মিয়া নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক বজ্রপাতে মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে তিনি বাড়ির পাশের ঈদগাহ মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ মাহমুদ খাঁন বাহালুল বলেন, তার বাবাও কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল। আজকে সে বজ্রপাতে মারা গেল। আমরা তার মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শিবপুরের দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া মাঠে কাজ করছিলেন। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সেখান থেকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, কৃষক খোকন মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

এছাড়া নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার পুকুরে গোসল করতে গেলে বজ্রপাতে মারা যায় শুপ্তকর। সে স্থানীয় সাঠিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শুপ্তকরের মৃত্যুর বিষয়টি স্বজনদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তারা গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ করতে চাননি