নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ইউএনও মনোয়ারকে প্রত্যাহার
প্রকাশিতঃ ০৭ মার্চ, ২০২৩
জেলা প্রতিনিধি:বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের দু’বার নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত পহেলা মার্চ সকালে বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কের কাঁঠালতলা মোড়ে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি গাড়িতে ফুল ঝাড়ুর ঘষা লাগার অপরাধে ইউএনও মো. মনোয়ার হোসেন চড় দিয়ে কান ফাটিয়ে দেন ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের দু’বারের নির্বাচিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমানের। ফকিরহাটের ইউএনও ওই সময়ে সাবেক জনপ্রতিনিধিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেই ক্ষান্ত হননি তাকে গাড়িতে এক ঘণ্টা আটকে রাখেন। এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মিজানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কান থেকে রক্তক্ষরণ হলে স্বজনেরা শেখ মিজানকে ফকিরহাট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তার কানের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ওইদিন মিজান খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে দেখা করে ফকিরহাটের ইউএনও মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেনের বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার পর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে ইউএন ওর হাতে জনপ্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি উঠে আসে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট মন্ত্রণালয় পাঠানোর পরই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব রেহেনা আক্তার স্বাক্ষরিত আদেশে ইউএনও মো. মনোয়ার হোসেনকে ফকিরহাট থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনু বিভাগে ন্যস্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে। রাতে ফকিরহাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউএনকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার খবরে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উল্লাস করছে।