নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ২৩
প্রকাশিতঃ ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসাধীন বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা গেছেন একজন। তারা হলেন, আবদুল মালেক (৬২), মিজান হোসেন নিজাম (৪০), নাদিম (৪৫), শামীম (৪৫) ও জুলহাস।
এ দুর্ঘটনায় হতাহতরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল হতাহতের এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বলেন, রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে শামীম নামে আরও একজনের মৃত্যুর খবর দেন তিনি। পরে সকালে জুলহাস নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে মারা গেলেন মোট ২৩ জন।
নিহতদের মধ্যে জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১) দুইভাই। তাদের বাসা নারায়ণগঞ্জের তল্লায়। মসজিদের ইমাম সোবহানও মারা গেছেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরের পুটিয়াজুড়ি গ্রামে। তার ছেলে আব্দুল মালেকও শনিবার রাতে মারা গেছেন। এছাড়া মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মারা যায় ছেলে জুনায়েদও (১৬)। দুদিন আগে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থেকে বাবার কাছে এসেছিল সে।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে এ ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী উপস্থিত থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।
শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি মুসল্লিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।