সোমবার ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আলোচিত বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ডের পর এবার মিন্নি যা বললেন (ভিডিও)

প্রকাশিতঃ ১৪ জুলাই, ২০১৯  

জেলা প্রতিনিধি: আলোচিত হত্যাকাণ্ডের পর আলোচনা-সমালোচনার যেন শেষ নেই। বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলনের পরদিন এবার সংবাদ সম্মেলনে করছেন এ হত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসা রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, গতকাল তার শ্বশুর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা মনগড়া ও বানোয়াট। শ্বশুরের সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ দাবি করেছিলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।

রোববার লিখিত বক্তব্যে মিন্নি বলেন, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারী কলেজের সামনে আমার স্বামী রিফাত শরিফকে নয়ন বন্ডসহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে।

সেই হত্যার ভিডিও প্রকাশ পেলে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য আমি যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রেরমূখে প্রতিবাদ করেছি, সেই ভিডিও দেখে সারা দেশের মানুষ আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন।

পরবর্তীতে আমার শ্বশুর নয়ন বন্ডসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় উল্লেখ নেই যে আমি স্বামী হত্যার সাথে জড়িত, বরং ওই মামলায় আমি ১ নম্বর স্বাক্ষী। বর্তমানে আমার শ্বশুর অসুস্থ্ এবং তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আরও অসুস্থ্ হয়ে পড়েছেন। যখন যা বলেন পরে তা মনে থাকেনা। উল্লেখ থাকে যে, রিফাত হত্যায় আসামিরা বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করেছে। যেমন ফেসবুকে বিভিন্ন ছবি এডিট করে পোষ্ট করেছে যা কখনই সত্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ০০৭ নামে যে গ্রুপটি বরগুনায় যারা সৃষ্টি করেছেন তারা খুবই ক্ষমতাবান ও বিত্তশালী। তাই তারা এই বিচারের আওতা থেকে দুরে থাকার জন্য আমার শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে রিফাত হত্যার বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য শনিবার বরগুনা প্রেস ক্লাবে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যা সম্পূর্ন মনগড়া ও বানোয়াট। আমার শ্বশুরের সকল বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি।

আমার স্বামীকে কোপানোর পরে তাকে আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করার কথা শুনে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি এবং জ্ঞান ফিরলে আমি জানতে পারি।

আমার নিরাপত্তা দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বরগুনার পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এক স্বামীহারা অসহায় নারী, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।