মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে স্ট্রোক করে মৃত্যু

প্রকাশিতঃ ১৪ জুন, ২০১৯  

জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে এক ভন্ড ফকিরের আস্তানায় পর-নারীর সাথে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে উত্তেজিত অবস্থায় স্ট্রোক করে গৌর চন্দ্র দাস (৫০ ) নামে এক জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৩জুন) দুপুরে ঘটনাটি সংগঠিত হয়।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, যৌন ক্রীড়ায় নিহত ব্যক্তি মহেশপুর নওদাগা গ্রামের হরিপদ দাসের ছেলে ।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসাদাহ ভন্ড ফকিরের আস্তানা আফছারিয়া দরবারে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত অপরিচিত লোকজন যৌনকাম করার উদ্দেশ্যে সাথে করে মহিলা নিয়ে আসে। আফসারিয়া দরবারের গোপন কক্ষে নিয়ে গিয়ে মধু খাওয়া শেষে আবার চলে যায় নিজস্ব গন্তব্যে। প্রতিবাদ করেও কখনো কাজে আসে না। তারা সকলকে ম্যানেজ করে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কুকর্মের ব্যাবসা স্থাপন করে চলেছে। তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এমন নোংরা কার্যকলাপ করে চলেছে বছরের পর বছর। এর প্রতিকার করেও কোনরকম ফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার সকালে মহেশপুর নওদাগা গ্রামের হরিপদ দাস ও হাসাদাহ শ্রীরামপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে বরকত ওরফে নোটলের যোগসাজশে অজ্ঞাত দুজন নোংরা চরিত্রের মেয়ে ভাড়া করে নিয়ে যায় ভন্ড ফকির আফছারের দরবারে। তারপর গোপন কক্ষে গিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে মধুর স্বাদ নিতে থাকে। এমতাবস্থায় যৌন উত্তেজনা বেড়ে গিয়ে স্ট্রোক করে হরিপদ দাসের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। যৌন কামের কোন সাড়া না পেয়ে মহিলা তাকে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অজ্ঞাত মহিলার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। এখবর শুনে অপর সহযোগী বরকত ওরফে নোটল তার পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ভন্ড ফকির আফছার জানায় হরিপদ দাস রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল পথিমধ্যে পড়ে গেলে আমি তাকে উদ্ধার করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং সে সাথে সাথেই মারা যায়।

এলাকাবাসী নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসাদাহ বাজারে আসে লাশ শনাক্ত করার জন্য। কিন্তু তার লাশের পরিচয় কেউ শনাক্ত করতে সক্ষম না হওয়ায় জীবননগর থানা পুলিশ সেখানে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে লাশ জীবননগর থানায় নিয়ে আসে। এবং তার সহযোগী বরকত ওরফে নোটল কে আটক করতে সক্ষম হয়। এবং যৌনকাজে ব্যবহৃত কনডম ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, ঘটনার এবিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং অপর সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবী তাদের অপকর্ম প্রতিহত করতে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এবং এর প্রতিকার যদি না করা হয় তাহলে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অচিরেই বিপগামী হয়ে পড়বে। এজন্য এসমস্ত ভন্ড ফকিরের মাজার অপসারন করার দাবি জানান।