মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ শেষে ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দিলো পুলিশ” অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশিতঃ ২১ মে, ২০১৯  

জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুর পৌরসভার টিবি ক্লিনিক সড়কে ধর্ষণের পর দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৬) ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে পুলিশের এক সদস্য। এতে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা নেই। তার মা মানসিক রোগী।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম মোক্তার হোসেন। তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লাকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্যাতিত স্কুলছাত্রীকে রোববার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে ভাড়া থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যান। এই সুযোগ রোববার রাতে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে নেন। এসময় দরজা বন্ধ করে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। পরে পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন স্কুলছাত্রীকে পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে করে স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নির্যাতিত স্কুলছাত্রী জানায়, মোক্তার হোসেন আমাকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে আমাকে তিনি ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে আমার হাড় ভেঙে গেছে। এর আগে তিনি আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একটি মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল।

মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, এই ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।