ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মধ্যবয়সী মার্কিন নারী
প্রকাশিতঃ ২০ এপ্রিল, ২০১৯
জেলা প্রতিনিধি: ভালোবাসার টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা সমাজে অহরহ দেখা গেলেও দেশ ছাড়ার ঘটনা আধুনিক যুগে বিরল। তবে সম্প্রতি শুধু প্রেমের টানে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক তরুণ-তরুণী বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন।
এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন আমেরিকা থেকে প্রেমিকের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসা ডংসন লং (৫২)। চুয়াডাঙ্গার সাতাশ বছর বয়সী প্রেমিক ফয়সালের জন্য ধর্মও বদলেছেন বায়ান্ন বছরের এই ডংসন। নতুন নাম নিয়েছেন মরিয়ম খাতুন।
স্থানীয়রা জানান, ফয়সাল আহমেদের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বনানীপাড়ায়। তার বাবা সোনালী ব্যাংক কর্মচারী শাহাবুল হোসেন। ফয়সালের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ-পরিচয় ডংসনের। পরিচয় গিয়ে ঠেকে পরিণয়ে। বাংলাদেশে প্রেমিকের কাছে ছুটে আসেন মধ্যবয়সী ডংসন। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে নাম নেন মরিয়ম খাতুন। তারপর বিয়ে করেন এই যুগল।
এদিকে জানাে গছে, ফয়সাল বিবাহিত। তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। তাই আমেরিকা থেকে আসা নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি। শনিবার বিকালে ফয়সালের বাড়িতে গিয়ে নবদম্পতিকে পাওয়া যায়নি। মার্কিন নারীকে বিয়ে করে ফয়সাল এলাকা ছেড়েছেন বলে প্রতিবেশিরা জানান।
স্থানীয়রা আরো ও জানান, ফয়সালের পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানলেও কাউকে কিছু বলছেন না। ফয়সাল হয়তো আমেরিকা যাওয়ার জন্য ওই মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন। কয়েক দিন ধরে ফয়সালকে এলাকায় দেখা যায়নি। বিদেশি নারীকে নিয়ে হয়তো অন্য স্থানে চলে গেছেন। বর্তমানে তারা কোথায় আছেন জানেন না কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল প্রেমিক ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে নাম পরিবর্তন করেন ডংসন লং। মরিয়ম খাতুন নামে ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে ফয়সালকে বিয়ে করেন তিনি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের নোটারী পাবলিকের এ্যাড. এস এন এ হাশেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যে মধ্য বয়সী এক মার্কিন নাগরিকের সাথে ওই যুবকের বিয়ে হয়েছে।তবে তিনি জানান তারা বিয়ে আমার কাছে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ডিক্লিয়ারেশন দিয়েছেন।