মঙ্গলবার ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শ্বশুরবাড়ির লোককে মাদক খাইয়ে ফুলশয্যার রাতেই পালাল নতুন বউ

প্রকাশিতঃ ১১ এপ্রিল, ২০১৭  

চিত্র বিচিএডেস্ক:অনাথ মেয়ে। দেখতেও ‘মন্দ’ নয়। বিয়ের সম্বন্ধ আসতে তাই আর দ্বিতীয়বার ভাবেননি আঠাশ বছরের যুবক। ‘সহায়সম্বলহীনা’ সুন্দরীর প্রেমে পড়ে যান সতপল। খুব তাড়াতাড়ি প্রেম নিবেদন করেন পূজা নামের তরুণীটিকে৷ দু’দিনের মাথায় বিয়ে৷ কিন্তু এরপরই ‘সহায়সম্বলহীনা’ হয়ে উঠল ‘ঠগিনি’। ফুলশয্যার রাতেই বর ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনকে মাদক খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে পালাল পূজা৷ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা।
দিনকয়েক আগে সতপল গাজরাউলা মন্দিরে গিয়ে পূজাকে বিয়ে করেন৷ বিয়ের অনুষ্ঠানে তেমন আড়ম্বর না থাকলেও নতুন বউকে সাজাতে কোনও কার্পণ্য রাখেননি সতপল। বাহারি শাড়ি, প্রচুর গয়না। ফুলশয্যার রাতে সবই তুলে দিয়েছিল বউয়ের হাতে। কিন্তু সে রাতই হল কালরাত। সব নিয়ে পগাড় পাড় নতুন বউ। এ ঘটনায় কার্যত হতবাক সতপল। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরও। বিয়ে ইস্তক মেয়ের যে মিষ্টি ব্যবহার, তা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তারা। কীভাবে পূজা এমন কাজ করে বসল মাথাতেই আসছে না তাদের। সতপল জানিয়েছেন, পূজা তাকে বলেছিল তার এক ভাই রয়েছে৷ বাবা-মা নেই৷ গাজিয়াবাদ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ পুলিশও বলছে, এ তো হিন্দি সিনেমার মতো ঘটনা।
সতপলের তিন ভাই-বোন রয়েছে৷ সতপলই বাড়ির বড় ছেলে৷ মহারাজ নামে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে বিয়ের এই সম্বন্ধটি এনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ মহারাজ নামের সেই ব্যক্তি সতপলকে গাজরাউলে ডেকে পাঠান৷ সেখানে পূজাকে দেখে প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যান সতপল৷ ঠিক করেন এই মেয়েকেই বিয়ে করবেন তিনি। আর তা দু’দিনের মধ্যেই। মন্দিরে সাতপাক সেরে বউ নিয়ে বাড়ি আসেন সতপল।
শ্বশুরবাড়িতে বিয়ের বেশ কিছু আচার ও প্রাথমিক অনুষ্ঠানও পালন করে পূজা৷ কাউকে একবারও বুঝতে দেয়নি, পরদিনই সে কী কাণ্ড ঘটাতে চলেছে৷ বিয়ের পরও ভাইকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল পূজা। সতপল মনে করেছিলেন, মা-বাবা নেই। ভাইকে আগলে রাখতেই দিদির এমন আবদার। কিন্তু এমন একটা কাণ্ড যে ঘটে যাবে, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না সতপলের।