হারাম খাদ্য তওবা কবুলের প্রতিবন্ধক
প্রকাশিতঃ ১৯ অক্টোবর, ২০১৬
ডেস্কঃ ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল উপার্জন ও সৎপথে রোজগার একটি প্রশংসনীয় কাজ। আল্লাহতায়ালা কোরানে কারিমে এর নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, হে মানবমণ্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তুসামগ্রী ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সূরা আল বাকারা: ১৬৮। ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো, হারাম উপার্জনকারীর কোনো আমল আল্লাহতায়ালার কাছে কবুল হয় না। তার দোয়া কবুল হয় না। কোনো বরকত থাকে না তার সম্পদে।
এক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে সাদ, পবিত্র খাবার গ্রহণ করো, তা হলে তোমার দোয়া কবুল হবে। সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ; বান্দা যখন তার মুখে হারাম উপায়ে কোনো খাবার গ্রহণ করে, আল্লাহ ৪০ দিন তার কোনো আমল কবুল করেন না। আর যে ব্যক্তি বেড়ে ওঠে অবৈধ সম্পদ আর হারাম উপার্জিত অর্থে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই উত্তম।’ অসৎ ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের দান-সদকাও কবুল হয় না। সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি আর হারাম ব্যবসা-বাণিজ্যের অর্থ-সম্পদের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য প্রত্যাশা করা যায় না।
হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা ছাড়া নামাজ আর চুরি ও আত্মসাতের সম্পদের সদকা কবুল হয় না।’ সহিহ মুসলিম। হারাম রিজিক, হারাম খাদ্য বড় সাংঘাতিক বস্তু। হারাম খাদ্য শরীরের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ঢুকে যায়। যার কারণে হারাম কিছু খেলে তার দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। এ বিষয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘একজন মানুষ লম্বা পথ সফর করেছে, ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। এরপর সে না ঘুমিয়ে রাতে নামাজ পড়ে এবং আল্লাহকে ডেকে ডেকে দোয়া করে হে আল্লাহ, তুমি আমার গোনাহ মাফ করো। কিন্তু তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, কাপড়-চোপড় হারাম। তার সবকিছুই হারাম। সুতরাং ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত শরীরে, না ঘুমিয়ে সে যত মনোযোগ সহকারেই দোয়া করুক না কেন, আল্লাহর দরবারে তা কবুল হবে না।’ মিশকাত দোয়া কবুল হওয়ার জন্য কাপড়-চোপড়, খাওয়া-দাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু হালাল হতে হবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে শরীর হারাম খাদ্য দ্বারা লালন-পালন করা হয়েছে, সে শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ মিশকাত