বাঞ্ছারামপুরে ১০টাকা কেজির চাল বিতরণে ডিলারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ১১ অক্টোবর, ২০১৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরে ১০ টাকা কেজির চাল দুস্থদের মধ্যে বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের ডিলার ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে। সোমবার (১০ অক্টোবর) ওই ইউনিয়নের মরিচাকান্দি গ্রামের ১৮ জন দুস্থ ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ফারুকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত ফারুক দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই। ইউএনও’র কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করতে ৬ সেপ্টেম্বর ২৬ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের মরিচাকান্দি বাজার এলাকায় চাল বিক্রি করতে বাখরনগর গ্রামের মো. ফারুককে নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৪২০ জন দুস্থ মানুষের মধ্যে চাল বিতরণের জন্য আগেই কার্ড দেওয়া হয়। শনিবার (৮ অক্টোবর) ওই দুই ওয়ার্ডের ডিলার ফারুক প্রথমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করেন। এতে দুস্থ ব্যক্তিদের কার্ডে দু’টি ভিন্ন তারিখ দিয়ে ৩০ কেজি করে ৬০ কেজি চালের কথা লিখে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
এই কার্ডধারী মরিচাকান্দি গ্রামের বাতেন মিয়া জানান, ৮ অক্টোবর চাল আনতে গেলে ডিলার ফারুক তার কাছ থেকে আগের মাসের ৩০ কেজি ও এই মাসে ৩০ কেজি লিখে টিপসই নিয়েছেন। কিন্তু চাল দিয়েছেন মাত্র ৩০ কেজি। এ বিষয়ে ডিলার ফারুক মিয়া জানান, চাল বিতরণের দিন তিনি ছিলেন না। অন্যরা কার্ডগুলোতে স্বাক্ষর ও টিপসই নিয়েছে। ভুলবশত এমনটি হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির প্রধান আনারুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফারুক মিয়ার ডিলারশিপ বাতিলের সুপারিশ করা হবে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খাদ্য কর্মকর্তাকে।