বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

স্পিডবোট ডুবির ১০ দিন পরেও নিখোঁজ এনির কোন সন্ধান পায়নি স্বজনরা

প্রকাশিতঃ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬  

মাদারীপুর: বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটের মাঝ পদ্মায় ফেরির সঙ্গে ধাক্কায় একটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় ঘটেছে। ডুবে যাওয়া স্পিডবোট সকল যাত্রীদের জীবত উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবী কাওড়াকান্দি স্পিডবোট ঘাটের ও পুলিশের।
কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্রে জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাওড়াকান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রী বোঝাই স্পিডবোট ছেড়ে আসে। বিপরীত দিকে আসা একটি ডাম্ব ফেরি সঙ্গে লৌহজং চ্যানেলের মুখে ধাক্কা লাগে। এসময় স্পিডবোটের সকল যাত্রী মাঝ পদ্মায় ডুবে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি স্পিডবোট এসে ডুবে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার করে শিমুলিয়া পাড়ে নিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানান, শিমুলিয়া ঘাটের কাছাকাছি আসলে স্পিডবোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় কাওড়াকান্দি থেকে ছেড়ে আসা একটি ডাম্ব ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এ স্পিডবোটে চালকসহ ১৮জন যাত্রী ছিল।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, শিমুলিয়া ঘাটের কাছাকাছি একটি স্পিডবোটের সঙ্গে একটি ডাম্ব ফেরি সঙ্গে ধাক্কায় স্পিডবোটের সকল যাত্রী পদ্মায় ডুবে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি স্পিডবোট এসে ডুবে যাওয়া সকল যাত্রীদের উদ্ধার করে শিমুলিয়া পাড়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ নিখোঁজ নাই।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর উত্তাল পদ্মায় ঢেউয়ের কারনের দুটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় ঘটে। ঐ ঘটনায় শিবচর পৌর বাজারের শিউলী স্টোরের সত্ত্বাধিকারীর আঃ রউফ মাস্টারের মেয়ে আইরিন নাহার এনি নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ আইরিন নাহার এনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এন্ড বিজনেস টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) এমবিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও অনেক খোঁজাখুঁজি এ পর্যন্ত নিখোঁজ আইরিন নাহাfsd-768x576র এনি লাশের কোন সন্ধান পায়নি স্বজনরা।