মাদারীপুরে পঙ্গু ভিক্ষুককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
স্টাফ রিপোর্টার: মাদারীপুর জেলার শিবচর উপেজেলায় এক পঙ্গু নারী ভিক্ষুককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাদারীপুর জেলার শিবচরে ময়নাকাটা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শুক্রবার দুপুরে নদীর মধ্যে কুচরিপানা থেকে এক পঙ্গু ভিক্ষুককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। পরে ওই নারীকে এক ভ্যান চালক শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে শিবচরের পাচ্চর এলাকার রাস্তার পাশে ব্যঙ্গচোরা এলাকার একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে ৪/৫ যুবক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পঙ্গু ওই ভিক্ষুক (৩২) হাসপাতালের ডাক্তার ও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
শিবচর থানা পুলিশ, ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা ময়নাকাটা নদীর কুচরিপানা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। পরে একজন ভ্যান চালক তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে পার থেকে রাস্তার পাশের একটি দোকানে বসে এবং রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সেখান থেকে তাকে ৪/৫ যুবক শিবচরের পাচ্চর রাস্তার পাশের ব্যঙ্গচোরা এলাকার একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে ওই ভিক্ষুক অভিযোগ করেছেন।
পঙ্গু ওই ভিক্ষুক তিন সন্তানের জননী। সাভারে তার স্বামীর বাড়ি। শিবচরের কাচিকাটা গ্রামের তার বাবার বাড়ি। কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনার পর ডাক্তার তার ডান পা কেটে ফেলে। তখন থেকে তিনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার (বাবার বাড়ি) এলাকায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাকে জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় দুপুরে এক ভ্যান চালক হাসপাতালে নিয়ে আসে। ৪/৫ জন যুবক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে নার্সের কাছে বলেছেন।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন মোল্লা ও পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের মিয়া শিবচর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীকে দেখতে যান।
শিবচর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান, অসুস্থ অবস্থায় তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।