অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে ধর্ষণ/৭দিনেওধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ
প্রকাশিতঃ ২৭ আগস্ট, ২০১৬
নাটোর// নাটোরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকার একটি মাঠে রোববার রাতে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ধর্ষিতা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার বৃপাথরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ধর্ষিতার স্বামী আবু সাঈদ শনিবার তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। রোববার সন্ধ্যার দিকে রুমা নামে এক প্রতিবেশী ওই গৃহবধূকে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু সাঈদের কথিত মৃত্যুর কথা বলে স্বামীর কাছে নিয়ে যেতে চায়। স্বামীর মৃত্যুর কথা শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় প্রতিবেশী রুমার সাথে বৃপাথরিয়া বাজার থেকে সিএনজি যোগে যাত্রা করে তারা। কিন্তু তাকে কোথায় নেওয়া হচ্ছে তা জানতেন না ওই নারী। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর ব্রিজের পশ্চিমেপার্শ্বে ধর্ষিতাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে দিয়ে সটকে পড়েন রুনা।
পরে রাত আনুমানিক ১টার দিকে তাকে হয়বতপুর এলাকার একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে মুখে কাপড় বেধে ও পিস্তল দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে মাইক্রোবাসে থাকা ৬ বখাটে। ধর্ষণ শেষে মুখে লাগানো টেপ খুলে দিলে চিৎকার করে ওঠে ওই গৃহবধূ।
পরে তার আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন টর্চ লাইট জ্বালালে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। মাঠের পাশ্ববর্তী গ্রাম নবীন কৃষ্ণপুরে যেতে সক্ষম হন তিনি।
সোমবার সকালে নবীন কৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন ধর্ষিতার স্বামী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় থানায় ৬জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়েল করা হয়েছে।