কারাগারে বসে ৫০০ প্রেমপত্র পেলেন এই সুন্দরী অপরাধী
প্রকাশিতঃ ২৩ আগস্ট, ২০১৬
ডেস্ক রিপোর্ট : কথায় বলে না। বিদ্বান আর সুন্দরের জয়গান সর্বত্র। তাই বলে কারাগারে অন্ধকার কুটুরিতে থেকেও এভাবে প্রেমের জোয়ারে ভাসা যায় তা ভাবতে পারেননি মিচেয়েলা ম্যাককোলাম। মিশেলার ভক্তদের কাণ্ড শোনার আগে চলুন শুনে নিই, ওর কাহিনি।
২৩ বছরের মিচেয়েলা কোকেন স্মাগল করার অভিযোগে পেরুর লিমায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন। ব্রিটেনের মডেল মিচেয়েলার জীবনটা ছিল উশৃঙ্খলায় ভরা। মিচেয়েলা তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের নিষিদ্ধ ড্রাগস নিয়ে যাচ্ছিলেন স্পেনে। বিপত্তিটা বাধে পেরুতে। সেখানে থেকেই বদলে গেল ওর জীবন। পেরু পুলিশ ওকে গ্রেপ্তার করে ভরে দিল কারাগারের কুঠুরিতে। সে ভয়ানক কারাগার। মিচেয়েলার জীবনযাত্রার সঙ্গে কোনো মিল নেই। কারাগারে বাথরুম নেই, ড্রেনের পানিই খেতে হয়। খাবার খুব কম। মিচেয়েল ধরেই নিয়েছিল সে মরে যাবে। কিন্তু মিচেয়েলের সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তা তাঁকে জীবনে ফেরাল।
জেলার তাঁকে খুব পছন্দ করত। মিচেয়েলের জন্য সে খাবার এনে দিত। ফেসবুক ব্যবহার করতে দিত। পড়াশোনা করার সুযোগ দিত। মিচেয়েল যেন অক্সিজেন পেল। মিচেয়েলের সঙ্গে কোনো ড্রাগস পাচারকারী সংস্থার যোগাযোগ নেই বুঝতে পেরে তাঁর কাছে সরাসরি চিঠি পৌঁছে যেত। মিচেয়েলকে তাঁর দেশ থেকে বাবা-মা বন্ধু-আত্মীয়রা চিঠি তো লিখতই, সঙ্গে আসতে থাকল প্রেম পত্র। তিন বছর কারাগারে ছিল মিচেয়েল, অন্তত ৫০০ খানা প্রেমপত্র সে পেয়েছে। প্রেমপত্রের সঙ্গে অনেকে গিফটও পাঠিয়েছে। গিফট হিসেবে ছিল বিড়াল ছানা। কারাগারের নিরাপত্তা কর্মীরা তো বটেই কারাগারে মনোবিদও বিয়ের প্রস্তাব দেয় মিচেয়েলকে। সেসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় তাঁকে হুমকি শুনতে হয়েছে। এমনও বলা হয়েছে, বিয়ে করলে তবেই কারাগারা থেকে মুক্তি মিলবে। না হলে কারাগারেই পচে মরবে।
মিচেয়েলের জাদুতে কারাগারে এল নতুন জীবন। মিচেয়েল তাঁর সহবন্দীদের নিয়ে সেলুন খুলল। বিনিময়ে সে মোবাইল ব্যবহার করার সুবিধা পেল। অবশেষে মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরেছে মিচেয়েল। সূত্র: জিনিউজ