নরসিংদীতে স্কুল ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার: গ্রেফতার ১
প্রকাশিতঃ ২১ জুলাই, ২০১৬
নরসিংদী : অপহরণের তিন দিন পর সদর উপজেলার রাজাদী গ্রাম থেকে মরণ চন্দ্র দাস (১০) নামে এক স্কুল ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সুমন মিয়া (২৪) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহত স্কুল ছাত্রের বাবা সাবেক ইউপি মেম্বার বিজন দাস বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, স্কুল ছাত্র মরণ চন্দ্র দাস নিখোঁজের ঘটনায় সুমন মিয়া নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে পুলিশী জিঞ্জাসাবাদে সুমনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরসিংদীর রাজাদী গ্রামের ডাক্তার চন্দন বর্মনের কলা ক্ষেতের বাউন্ডারীর ভেতর থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মরন দাসের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের লাশটি অর্ধ গলিত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মরণ চন্দ্র দাস রাজাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। তাকে অপহরণ পূর্বক এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসিরা বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে মানব বন্ধন করে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, গত সোমবার মরণ চন্দ্র দাস স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয়।
এ ঘটনায় মরন চন্দ্র দাসের বাবা বিজন চন্দ্র দাস গত মঙ্গলবার নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তপূর্বক পার্শ্ববর্তি পলাশের চর গ্রাম থেকে সুমন মিয়া ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল বুধবার রাতে সুমনকে গ্রেফতার করে জিঞ্জাসা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার জড়িত বলে স্বীকার করে। এরপর তার দেখানো মতে রাজাদী চন্দন ডাক্তারে কলা ক্ষেতের ভিতর থেকে মরণ দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া একসময় মরন দাসের বাবা সাবেক ইউপি মেম্বার বিজন দাসের সাথে চলা ফেরা করতো। আর বর্তমানে সুমন মিয়া মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে তাকে বাধা দেন বিজন মেম্বার। তারই জের হিসেবে মরণ দাসকে অপহরণের পর হত্যা করা হয় ।