টাঙ্গাইলে শিশু ধর্ষণের বিচার করতে গিয়ে চেয়ারম্যান আটক –
প্রকাশিতঃ ০৪ জুন, ২০১৬
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ারে ৩য় শ্রেণির শিশুকে গণধর্ষণের বিচার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন ডুবাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলী।
শুক্রবার রাতে পুলিশ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে ইলিয়াছ আলীকে কারাগারে প্রেরণ করে দেলদুয়ার থানা পুলিশ।
এদিকে একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহান (১৮) ও কোপাখী গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিল (১৯) এই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
গত ২৯ মে রাতে কোপাখী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত ও মুখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ওই গ্রামের বখাটে সোহান, শাকিল ও শাহিন। এরপর ৩১ মে রাতে এ ঘটনায় এলাকার মাতাব্বরদের উদ্যোগে কোপাখী গ্রামের সাবেক মেম্বার মতিয়ারের বাড়িতে এক সালিশি বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে বখাটেদের তিন লাখ টাকা জরিমানা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। গ্রাম্য সালিশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগে ইলিয়াছ আলীকে আটক করে পুলিশ।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের বিচার গ্রাম্য সালিশে মীমাংশা করার পরও ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ করার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান চেয়ারম্যান ইলিয়াছ আলীকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে অপর দুজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দীন খান ফারুকী।