নিখিল খুনে জামায়াত নেতাসহ আটক ৩
প্রকাশিতঃ ০১ মে, ২০১৬
নিজস্বপ্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ডুবাইল কালিবাড়ি বাজারে দর্জি দোকানি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার খুনে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। খুনের একদিন পর রোববার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন গোপালপুর পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি বাদশা মিয়া, আলমনগর কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম এবং ঝন্টু মিয়া।
শনিবার দুপুরে গোপালপুর উপজেলার কালিবাড়ি বাজারে নিজের দোকান থেকে ডেকে বের করে কাপড় ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে অজ্ঞাত তিন যুবক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে আসা আনুমানিক ২০-২২ বছর বয়সী তিন যুবক নিখিলকে ডেকে দোকানের বাইরে আনে এবং নিজেদের ব্যাগ থেকে ছুরি ও চাপাতি বের করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত নিখিল লুটিয়ে পড়লে খুনিরা মোটরসাইকেলে চলে যায়।
মো. হারুন মিয়া নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নিখিলের দোকানের সামনে ধস্তাধস্তি দেখে তিনি এগিয়ে গেলে রক্তমাখা চাপাতি দেখিয়ে একজন তাকে বলে, আর সামনে এগোলে তাকেও জানে মেরে ফেলা হবে।
নিখিল খুনে জঙ্গিরা সম্পৃক্ত রয়েছে কি না সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। বলছে, খুনের বিভিন্ন মোটিভ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর তা বলা যাবে।
তবে পুলিশ বলছে, ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং সর্বশেষ ঢাকায় কলাবাগানের বাসায় ঢুকে সমকামী অধিকারকর্মী ও তার বন্ধুকে যে কায়দায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে নিখিল খুনেরও।
এদিকে, নিহত নিখিলের স্ত্রী আরতি রানি বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামি করে রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল জলিল সোনারবাংলা৭১.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া পুূলিশও বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা করেছে।