পিরোজপুর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
প্রকাশিতঃ ১৬ এপ্রিল, ২০১৬
পিরোজপুর: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিরোজপুরে মো. জসিম উদ্দিন পলাশ হাওলাদার (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নবসির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে উপজেলার নেছারাবাদের (স্বরুপকাঠী) জলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার দক্ষিণ সমুদয়কাঠী গ্রামের আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই শিমুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে আমার ভাই পার্শ্ববর্তী জলাবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব জলাবাড়ি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় জলাবাড়ি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আশীষ বড়াল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী পলাশকে একটি বিদ্যালয়ের ভেতর ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।’
এলাকাবাসী জানান, গত ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ইউপি নির্বাচনের দুই দিন আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশিষ বড়ালকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ জেপি সমর্থিত প্রার্থী তহিদুল ইসলামের সমর্থকরা। এর জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ বড়ালের সমর্থকরা জেপি প্রার্থীর সমর্থক পলাশকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
তবে পুলিশ জানায়, সকালে পূর্ব জলাবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানে নাস্তা করার সময় পলাশকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে পূর্ব জলাবাড়ী বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে পলাশের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিভিন্ন অংশে আঘাত ও পা ভাঙা অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। তবে তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ স্বদেশ বড়াল ও রতন বেপারী নামে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। নিহত পলাশ একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনের ২/৩ দিন আগে তিন জামিনে মুক্তি পান বলেও জানান ওসি।
এদিকে, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ওয়ালিদ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।